(আমাদের নতুন সিরিজ "ছোটদের নবী কাহিনী" । এই সিরিজে আমরা নির্ভরযোগ্য সুত্রে বর্নিত বিভিন্ন নবীদের কাহিনী জানব। ছোটদের উপযোগী করে লেখা হলেও, বড়দেরও অনেক কিছু জানার আছে)
---------------
(পুর্বে প্রকাশের পর)
কিছুক্ষন পরেই হুদহুদ এসে হাজির।
সোলায়মান আলাইহিস সালাম জিজ্ঞাসা করলেন “কি ব্যাপার! তুমি কোথায় ছিলে?”
হুদহুদ বলল “আমি আজ একটা নতুন দেশে গিয়েছিলাম। সে দেশের নাম সাবা। দেশটা অনেক সুন্দর। সে দেশের কোন রাজা নেই। একজন রানী আছেন। তিনিই দেশ চালান। সেই রানীর নাম বিলকিস। সে দেশের মানুষ আল্লাহ্র ইবাদাত করে না। তারা সুর্যের পুজা করে”
সোলায়মান আলাহিস সালাম হুদহুদের কথা মন দিয়ে শুনলেন। বললেন” দেখা যাক, তোমার কথা সত্যি কিনা। তুমি রানি বিলকিসের কাছে আমার চিঠি নিয়ে যাও। দেখি, রানী আমার চিঠির কি উত্তর দেয়”
সোলায়মান আলাইহিস সালাম একটা চিঠি লিখলেন। চিঠিতে তিনি রানীকে আল্লাহ্র পথে দাওয়াত দিলেন। বললেন, সুর্য পুজা ছেড়ে দিতে। কেবলমাত্র এক আল্লাহ্র ইবাদাত করতে। এটা আল্লাহ্র হুকুম।
তিনি আরো বললেন, রানী যদি আল্লাহ্র হুকুম না মানেন, তাহলে তিনি তার সেনাবাহিনী নিয়ে রানীর দেশে হাজির হবেন।
হুদহুদ সেই চিঠি নিয়ে বাতাসে উড়ে উড়ে হাজির হল রানী বিলকিসের কাছে।
রানী সোলায়মানের লেখা চিঠিটা পড়লেন। তারপরের দরবারের সবাইকে পড়ে শুনালেন। পড়া শেষে উপস্থিত সবাইকে জিজ্ঞাসা করলেন “আমি আপনাদের পরামর্শ চাই। বলুন, আমাদের এখন কি করা উচিৎ”
রানীর দরবারের থাকা লোকজন বলল “রানী! আমরা শক্তিশালী জাতি। আমাদের অনেক সৈন্য সামন্ত আছে। আপনি চাইলে আমরা সে রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারি।“
রানী বললেন “তারা যদি আমাদের দেশে আসে, হয়তো আমাদের দেশ ধ্বংস করে দিবে। আমাদের উপর অত্যাচার চালাবে। আমাদেরকে অপমান করবে। তখন আমাদের মান সম্মান বলে কিছু থাকবে না।
তার চাইতে আমি বরং রাজা সোলায়মানের জন্য দামী দামী উপহার পাঠাই। সোনা দানা পাঠাই। দেখি উপহার পেয়ে তিনি কি বলেন”
রানীর কথায় সবাই একমত হল। অনেক সোনা-দানা, মনি-মুক্তা নিয়ে বিলকিসের দুত গেল সোলায়মানের কাছে।
সোলায়মান বিলকিসের এইসব উপহার দেখে মুচকি হাসলেন।
বললেন “আমি আল্লাহ্র বান্দা ও নবী। আল্লাহ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন। আমার কাছে এই সোনা দানার কোন দাম নেই।
তোমাদের কোন সম্পদও আমি চাই না।
আমি চাই তোমরা সুর্য পুজা ছেড়ে দাও। কেননা সুর্য আল্লাহ্র সৃষ্টি। সুর্যের নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই। তোমরা সুর্যকে ছেড়ে আল্লাহ্র ইবাদাত কর। আল্লাহ্র হুকুম মান। এতেই আমি খুশি হব। তোমাদের সোনা দানা আমার কোন প্রয়োজন নেই”
রানী বিলকিস ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমতি। তিনি বুঝলেন সোলায়মান সাধারন কোন রাজা নয়। তিনি সত্যিই আল্লাহ্র নবী। আল্লাহ্র নবীদের কোন লোভ থাকে না। তারা শুধু চান, মানুষ আল্লাহ্র কথা মেনে চলবে। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ থাকবে না, হানাহানি থাকবে না।
রানী ঠিক করলেন, তিনি সোলায়মানের সাথে দেখা করবেন। এক আল্লাহ্র উপর ঈমান আনবেন। দুতের মাধ্যমে সোলায়মানকে জানালেন সে কথা।
রানী বিলকিসের মনোভাব জানতে পেরে সোলায়মান আলাইহিস সালাম খুশি হলেন। তিনি ভাবলেন, রানীকে একটু চমকে দিলে কেমন হয়?
তিনি তার দরবারে থাকা সবাইকে ডেকে বললেন “তোমাদের মধ্যে এমন কে আছ, যে রানীর সিংহাসন এখানে নিয়ে আসতে পারবে?”
দরবারে থাকা একজন খুব ভাল ঈমানদার বললেন “আমি এক মুহুর্তের মধ্যেই রানীর সিংহাসন এখানে নিয়ে আসতে পারব”
সোলায়মান আলাইহিস সালাম বললেন “ঠিক আছে, নিয়ে আসো”
(চলবে...)
---------------
(পুর্বে প্রকাশের পর)
কিছুক্ষন পরেই হুদহুদ এসে হাজির।
সোলায়মান আলাইহিস সালাম জিজ্ঞাসা করলেন “কি ব্যাপার! তুমি কোথায় ছিলে?”
হুদহুদ বলল “আমি আজ একটা নতুন দেশে গিয়েছিলাম। সে দেশের নাম সাবা। দেশটা অনেক সুন্দর। সে দেশের কোন রাজা নেই। একজন রানী আছেন। তিনিই দেশ চালান। সেই রানীর নাম বিলকিস। সে দেশের মানুষ আল্লাহ্র ইবাদাত করে না। তারা সুর্যের পুজা করে”
সোলায়মান আলাহিস সালাম হুদহুদের কথা মন দিয়ে শুনলেন। বললেন” দেখা যাক, তোমার কথা সত্যি কিনা। তুমি রানি বিলকিসের কাছে আমার চিঠি নিয়ে যাও। দেখি, রানী আমার চিঠির কি উত্তর দেয়”
সোলায়মান আলাইহিস সালাম একটা চিঠি লিখলেন। চিঠিতে তিনি রানীকে আল্লাহ্র পথে দাওয়াত দিলেন। বললেন, সুর্য পুজা ছেড়ে দিতে। কেবলমাত্র এক আল্লাহ্র ইবাদাত করতে। এটা আল্লাহ্র হুকুম।
তিনি আরো বললেন, রানী যদি আল্লাহ্র হুকুম না মানেন, তাহলে তিনি তার সেনাবাহিনী নিয়ে রানীর দেশে হাজির হবেন।
হুদহুদ সেই চিঠি নিয়ে বাতাসে উড়ে উড়ে হাজির হল রানী বিলকিসের কাছে।
রানী সোলায়মানের লেখা চিঠিটা পড়লেন। তারপরের দরবারের সবাইকে পড়ে শুনালেন। পড়া শেষে উপস্থিত সবাইকে জিজ্ঞাসা করলেন “আমি আপনাদের পরামর্শ চাই। বলুন, আমাদের এখন কি করা উচিৎ”
রানীর দরবারের থাকা লোকজন বলল “রানী! আমরা শক্তিশালী জাতি। আমাদের অনেক সৈন্য সামন্ত আছে। আপনি চাইলে আমরা সে রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারি।“
রানী বললেন “তারা যদি আমাদের দেশে আসে, হয়তো আমাদের দেশ ধ্বংস করে দিবে। আমাদের উপর অত্যাচার চালাবে। আমাদেরকে অপমান করবে। তখন আমাদের মান সম্মান বলে কিছু থাকবে না।
তার চাইতে আমি বরং রাজা সোলায়মানের জন্য দামী দামী উপহার পাঠাই। সোনা দানা পাঠাই। দেখি উপহার পেয়ে তিনি কি বলেন”
রানীর কথায় সবাই একমত হল। অনেক সোনা-দানা, মনি-মুক্তা নিয়ে বিলকিসের দুত গেল সোলায়মানের কাছে।
সোলায়মান বিলকিসের এইসব উপহার দেখে মুচকি হাসলেন।
বললেন “আমি আল্লাহ্র বান্দা ও নবী। আল্লাহ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন। আমার কাছে এই সোনা দানার কোন দাম নেই।
তোমাদের কোন সম্পদও আমি চাই না।
আমি চাই তোমরা সুর্য পুজা ছেড়ে দাও। কেননা সুর্য আল্লাহ্র সৃষ্টি। সুর্যের নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই। তোমরা সুর্যকে ছেড়ে আল্লাহ্র ইবাদাত কর। আল্লাহ্র হুকুম মান। এতেই আমি খুশি হব। তোমাদের সোনা দানা আমার কোন প্রয়োজন নেই”
রানী বিলকিস ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমতি। তিনি বুঝলেন সোলায়মান সাধারন কোন রাজা নয়। তিনি সত্যিই আল্লাহ্র নবী। আল্লাহ্র নবীদের কোন লোভ থাকে না। তারা শুধু চান, মানুষ আল্লাহ্র কথা মেনে চলবে। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ থাকবে না, হানাহানি থাকবে না।
রানী ঠিক করলেন, তিনি সোলায়মানের সাথে দেখা করবেন। এক আল্লাহ্র উপর ঈমান আনবেন। দুতের মাধ্যমে সোলায়মানকে জানালেন সে কথা।
রানী বিলকিসের মনোভাব জানতে পেরে সোলায়মান আলাইহিস সালাম খুশি হলেন। তিনি ভাবলেন, রানীকে একটু চমকে দিলে কেমন হয়?
তিনি তার দরবারে থাকা সবাইকে ডেকে বললেন “তোমাদের মধ্যে এমন কে আছ, যে রানীর সিংহাসন এখানে নিয়ে আসতে পারবে?”
দরবারে থাকা একজন খুব ভাল ঈমানদার বললেন “আমি এক মুহুর্তের মধ্যেই রানীর সিংহাসন এখানে নিয়ে আসতে পারব”
সোলায়মান আলাইহিস সালাম বললেন “ঠিক আছে, নিয়ে আসো”
(চলবে...)
0 Comments